আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন বানচালে বিএনপির অপপ্রয়াস ভন্ডুল করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন মোটামুটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সংসদ ভবন এলাকার তার সরকারি বাসভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিজনিত শঙ্কা কাটিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। 

নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা না করায় এবং গণপরিবহন বন্ধ ছিল বিধায় ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে।তিনি বলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার লক্ষ্যে নিরাপত্তার জন্য ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতয়েন করা হয়। মোটামুটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে দলের পক্ষ থেকেও সব ভোটার, জনসাধারণ ও নির্বাচন সংশ্নিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ওবায়দুল কাদের।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কর্তৃক ইভিএম মেশিন ভাঙ্গা ও কেন্দ্র দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। 

যা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। বরাবরের মত বিএনপি ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার দায়ভার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম থেকেই বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, সেটা তাদের আমলেও পায়নি। 

কিন্তু বিএনপি ৭৩৫টি কেন্দ্রের সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের সেই সাংগঠনিক ক্ষমতাও নেই। এই কারণে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে ও গণরায়কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি।সেতুমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগরীর জনগণ কখনোই বিএনপির পক্ষে সমর্থন দেয়নি। 

এমনকি তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। শুধু একবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুর আলম নির্বাচিত হলেও মূলত রাজনৈতিকভাবে তিনি আওয়ামী মতাদর্শের মানুষ ছিলেন। বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে জেতার জন্য মঞ্জুর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে নিয়ে এসে নিজেদের দলের প্রার্থী করেছিল।