বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‌‘জনগণের বৃহত্তর ঐক্যের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নতুন বছরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শুক্রবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ দিন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মিছিল ও শোডাউনে রাজধানীর ফার্মগেট থেকে আগারগাঁও এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। বিভিন্ন ইউনিটসহ সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের নিজেদের বলয়ের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিয়ার কবর প্রাঙ্গনে আসতে শুরু করেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, গাজীপুর জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী পুরো শেরে বাংলা নগর এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘জনগণের বৃহত্তর ঐক্য, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্য দিয়ে, একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারকে পরাজিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি এবং আমরা সফল হব নতুন বছরে। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীত আমরা শপথ নিয়েছি- আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব।

আন্দোলনে সফলতা আসছে না কেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করে, জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি করে একটি দখলদারি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা দমনের মাধ্যমে জনগণের যে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য, তাকে তারা দমন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে কখনই দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশে কখনও পারেনি। 

আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি বছর আমাদের জন্য নতুন শক্তি সঞ্চয় হবে এবং এই সরকারকে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব।

এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, আকরামুল হাসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।