ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি)- মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে বর্তমান সরকারের অধীনে যোগ দিতে পারবে না চীন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা ইয়োশিহিদে রবিবার একটি রেডিও প্রোগ্রামে এ কথা বলেছেন।শি জিনপিং সম্প্রতি এ চুক্তিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। নিকেকেই এশিয়া রিভিউ এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, চীন ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তিতে যোগদানের জন্য ইচ্ছুক।এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের একটি রেডিও প্রোগ্রামে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে যে দেশগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা রাষ্ট্র করে তাদের টিপিপি-তে যোগ দেওয়া কঠিন। 

কারণ এর বিধিবিধানগুলো অনুসরণের জন্য যে পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো রাষ্ট্র পরিচালিত ব্যবসা কাঠামোর জন্য উপযোগী নয়। তিনি শি জিনপিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন।  আমেরিকা যখন রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের দিকে মন দিয়েছে এমন সময় এ চুক্তিতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে এশিয়াতে চীনের উপস্থিতি আরো জোরদার করা সম্ভব হবে। চীন ট্রান্স-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের জন্য বিস্তৃত এবং প্রগতিশীল এ চুক্তিতে যোগদানের পক্ষে কাজ করতে ইচ্ছুক বলেও জানিয়েছিলেন চীনা রাষ্ট্রপতি।এদিকে, জাপানের ৪০ শতাংশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে, কিংবা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অথবা নেয়ার কথা ভাবছে। সম্প্রতি টোকিওভিত্তিক বার্তা সংস্থা কিয়োডো নিউজের এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কিয়োডো কর্তৃপক্ষ জরিপের জন্য জাপানের প্রায় ১৫০টি প্রধান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে ৯৬টি প্রতিষ্ঠান সাড়া দিয়েছে। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠান তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা চীন থেকে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সরিয়ে নিতে চায়। অবশ্য জাপান সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের দেশেই উৎপাদনকেন্দ্র ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান সরকারের এ আহ্বানের বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করছে। প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে বা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলো চিহ্নিত করেছে। ২৭ শতাংশ বা ২৬টি প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা প্রযুক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ গবেষণা নিষিদ্ধ করেছে। 

ছয়টি প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা এসব বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান অন্যদের সঙ্গে যৌথ গবেষণা করছে। জরিপের উল্লেখযোগ্য আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ, অর্থাৎ ৫৭টি প্রতিষ্ঠানই তাদের পণ্য উৎপাদনে কোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রম ব্যবহার করছে না। এটা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছে তারা।