যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার দু'টি অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছেন, যার ফলে অনেক গ্রিনকার্ড আবেদনকারী এবং অস্থায়ী বিদেশি কর্মীরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। 

অবশ্য ট্রাম্প বলেছেন, মহামারিকালীন অর্থনীতি পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্মীদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এপ্রিল ও জুন মাসে জারি করা অভিবাসন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাগুলোর মেয়াদ শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার তা এবার এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এটি বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত। অবশ্য বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদেশি কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে।

সদ্যজয়ী প্রেসিডেন্ট জো বিডেন ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি ট্রাম্পের এ বিধিনিষেধ আরোপের সমালোচনা করেছেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেবেন কি-না তা এখনও বলেননি। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞাগুলো জারি করেছেন, যা চাইলে দ্রুত বাতিল করা যেতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। অক্টোবরে ক্যালিফোর্নিয়ায় এক ফেডারেল বিচারক বিদেশি অতিথি কর্মীদের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন। ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লাখো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যাওয়ায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে ৯তম মার্কিন সার্কিট কোর্টে আপিল করেছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি এটির যুক্তিতর্কের জন্য শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।