তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি ছিল, কোনো কোনো পৌরসভায় ৭০ শতাংশের বেশি এবং সার্বিকভাবে ৬১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এমনকি ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা-আশঙ্কা থাকার পরও ইভিএম ভোটেও উপস্থিতি ছিল ৫৭ শতাংশের বেশি। তিনি বলেন, অতীতের মতো দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়, তবে সার্বিকভাবে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক। ভারতে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিল। 

সেই তুলনায় বাংলাদেশে এ নির্বাচন অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে।সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনেও বিপুলভাবে অর্থাৎ আওয়ামী লীগের ৪৬ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছে। আওয়ামী লীগ ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে এবং বিএনপি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। প্রথম দফা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি'র মাত্র ২ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল, এবার ৪ জন।মন্ত্রী বলেন, পৌর নির্বাচনের পর বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি স্বাভাবিক। প্রথম এবং দ্বিতীয় দু'দফা নির্বাচনেই জনগণ কর্তৃক প্রচণ্ডভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাদের দুর্বলতা ঢাকা আর মুখ রক্ষার জন্য তারা এ বক্তব্য দিচ্ছেন। 

জনগণ থেকে তারা যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন এবং উপজেলা-পৌরসভা পর্যায়ে তাদের সংগঠন যে দুর্বল হয়ে গেছে, সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই তাদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করলে বরং বিএনপি লাভবান হবে।বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইতিপূর্বেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এখনও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।মির্জা আব্দুল কাদেরকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, মির্জা আব্দুল কাদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। 

তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও জামাতের প্রার্থীদের সম্মিলিত ভোটের চেয়ে তিনগুণ বেশি ভোট পেয়েছেন। এজন্য আব্দুল কাদের মির্জা নিশ্চয়ই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অজ্ঞতাবশত যখন এই বক্তব্য রাখেন, সেটি খুবই দুঃখজনক। 

সরকারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত বিএনপি এবং দেশে আরো কিছু গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শেষ পর্যন্ত তারা দোয়া-মাহফিলকেও ষড়যন্ত্রের অংশ এবং উপলক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে। এটি আসলেই দুঃখজনক এবং এ ধরনের ষড়যন্ত্র তারা আগেও করেছে। কিন্তু এগুলো করে কোনো লাভ হবে না।