করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এই ভাইরাস প্রতিরোধে সংস্থার অনুমোদিত টিকার তালিকায় বুধবার প্রথম টিকা হিসেবে ফাইজারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে।গত ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। 

এরপর ৮ ডিসেম্বর এর প্রয়োগ শুরু হয়।ডব্লিউএইচওর এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বব্যাপী টিকাটির আমদানি ও বণ্টনের বিষয়টি দ্রুত অনুমোদনের পথ প্রশস্ত হলো। 

এখন থেকে টিকা সংক্রান্ত নানা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ডব্লিউএচওর সঙ্গে আলোচনা করবে ফাইজার।বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, এই অনুমোদনের মাধ্যমে ইউনিসেফ ও প্যান আমেরিকান স্বাস্থ্য সংস্থাও কোনও দেশের জরুরি প্রয়োজনে টিকা বিতরণের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারবে।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সব দেশ। 

মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে হুহু করে।এমন পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে করোনা প্রতিরোধে প্রয়োগ শুরু হয়েছে কয়েকটি টিকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে এর প্রয়োগ, কোনও কোনও দেশ প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে।রাশিয়া, ইরানের ও চীনের মতো দেশ তাদের নিজেদের তৈরি টিকা ব্যবহার করছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হচ্ছে ফাইজার, অক্সফোর্ড আর মডার্নার টিকা।এদিকে সুইজারল্যান্ডের লুজার্নে টিকা নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

তবে টিকা গ্রহণের ফলে সৃষ্ট কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাবে এ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কি-না এ বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কোনো কিছু জানা যায়নি।মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের যৌথ গবেষণায় উদ্ভাবিত এই টিকাটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে এই টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হয়।