রংপুর জেলায় প্রথম ধাপে ২ লাখ ৪০ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছেছে। রোববার সকাল ৬টায় টিকাবাহী একটি ফ্রিজার ভ্যান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়।সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ভ্যান থেকে টিকার ১৭টি কার্টুন নামিয়ে ইপিআর স্টোরে সংরক্ষণ করেছেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা, করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ ও সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (সিটিএসবি) শরীফ আল রাজীব, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ, ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও কোল্ড ইন টেকনিশিয়ান আলাউদ্দিন আল আজাদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।সিভিল সার্জন বলেন, ঢাকা থেকে একটি ফ্রিজার ভ্যানে পাঠানো ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ভোরে এসে পৌঁছেছে। 

কোল্ড চেইন মেইনটেইন করে ইপিআই স্টোরের আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে এসব ভ্যাকসিন। ১৭টি কার্টুনে ২০ হাজার ৪০০ ভাওয়াল রয়েছে। প্রতি ভায়ালে ১০টি করে ডোজ রয়েছে। ফলে আমরা ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে এ টিকা দিতে পারবো। 

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য রংপুর জেলার ৭টি উপজেলায় ৭টি বুথে এবং সিটি করপোরেশনের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬টি বুথ থাকবে। 

পর্যায়ক্রমে আরও ডোজ আসলে নিয়ম মাফিক এসব টিকা দেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্তদের অনলাইনে বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণ করা যাবে না। 

স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।