টাকার প্রয়োজন, তাই বন্ধুদের নিয়ে বাবার সিএনজি অটোরিকশাটিই চুরি করলেন ছেলে। এরপর নিজে বাদী হয়ে মামলাও দায়ের করেছেন। চুরি হওয়া সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধারে ভান করেছেন খোঁজাখুঁজির। কিন্তু এখন নিজের দায়ের করা মামলায় ফাঁসলেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চকবাজার থানার ফুলতলা এলাকা থেকে অটোরিকশার মালিকের ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে সিএনজি অটোরিকশাটি।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কক্সবাজার জেলার রামু থানার পশ্চিম গোয়ালিয়া পালং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. জসীম, ভোলা জেলার লালমোহন থানার দক্ষিণ চাঁচড়া গ্রামের মো. কামালের ছেলে মো. মোরশেদ আলম ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী গ্রামের মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো. রুবেল। তিনজনই সিএনজি অটোরিকশা চালক।

চকবাজার থানার ওসি রুহুল আমীন সমকালকে জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে জয়নাল আবেদীনের সিএনজি অটোরিকশাটি চুরি হয়। পরদিন বায়েজিদ বোস্তামী থানায় তার ছেলে মো. জসীম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

বৃহস্পতিবার রাতে একটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে দুই ব্যক্তি বিক্রির চেষ্টা করছে খবর পেয়ে মোরশেদ আলম ও মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, সিএনজি অটোরিকশার মালিক জয়নাল আবেদীনের ছেলে জসীম উদ্দিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সেটি চুরি করেছে। বিক্রির আগেই মোরশেদের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা অগ্রীমও নিয়েছেন ছেলে। বিক্রির পর বাকি টাকা নেওয়ার কথা ছিল তার।

ওসি বলেন, পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, টাকার প্রয়োজন হওয়ায় মোরশেদ ও রুবেলকে নিয়ে বাবার সিএনজি অটোরিকশাটি চুরির পরিকল্পনা করেন তিনি। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে রুবেল ও তিনি মিলে চুরি করে সিএনজি অটোরিকশাটি মোরশেদের কাছে বিক্রির জন্য রাখেন। এরপর বাবা যাতে সন্দেহ না করেন এ জন্য নিজেই উদ্যোগী হয়ে থানায় মামলা করেন এবং এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজির ভান করেন। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।