দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে গত এক বছরে অন্তত ৮০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য হয়েছে। শিক্ষকদের চাকরি থেকে অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে এসব পদ শূন্য হয়। 

অথচ নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি 'বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শূন্য পদ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। 

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর পুরোদমে ক্লাস শুরু হলে শিক্ষক সংকটের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম রীতিমত হোঁচট খাবে।এ অবস্থায় এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলে দ্রুতই বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।রোববার মোবাইল ফোনে সমকালকে এ কথা জানান এনটিআরসিএর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমি এ পদে নতুন যোগ দিয়েছি। এখনই এ বিষয়ে কথা বলাটা সমীচীন হবে না। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন দ্রুত সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যেই কাজ করব।এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। 

আগামী ১৫ জানুয়ারি সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে।সারাদেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগের আদেশ জারি করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ।

তবে নানা জটিলতার কারণে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছে না সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।