ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে টানা সাড়ে তিন মাস ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। গত ২৮ ডিসেম্বর ভারত সরকার পিয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকেই দিনাজপুরের হিলির বাজারে পিয়াজের দাম কমতির দিকে। আমদানির খবরে বাজারে দেশীয় পিয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। পিয়াজের দাম কমার কারণে ক্রেতাদের চাহিদাও বেড়েছে।

১ জানুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ। তাই ২ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

দুদিন আগে পিয়াজ বিক্রি করেছি প্রতিকেজি ৪০ টাকা। বৃহস্পতিবার বিক্রি করেছি সেই পিঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি। শুক্রবার সেই পিয়াজ বিক্রি করছি প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা। ভারত সরকার পিয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায়, কাল-পরশুর মধ্যে ভারতীয় পিয়াজ দেশে আসবে। এ জন্য বাজারে পিয়াজের দাম কমেছে। আগে মোকামে যে পিয়াজ ১ হাজার ২শ-৩শ টাকা মণ ছিল ভারতীয় পিয়াজ আসার খবরে সেই পিয়াজের দাম কমে ১ হাজার টাকায় এসেছে। 

ভারতীয় পিয়াজ আসছে খবরেই বাজারে দেশীয় পিয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। বাজারে দেশীয় জাতের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, ভারত সরকার পিয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় হিলি স্থলবন্দরের পিয়াজ আমদানিকারকরা ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছেন। তবে দেশের বাজারে দাম ও ভারতীয় পিয়াজের চাহিদার ওপর নির্ভর করবে এলসির সংখ্যা ও পিয়াজ আমদানির পরিমাণ। নতুন বছরের ২ জানুয়ারি থেকে পিয়াজ আসা শুরু করবে। ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে পিয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলেও জানান তিনি। 

অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।