বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, ২০২১ সালের মধ্যেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হোক, এটাই চায় বাংলাদেশ। ভাসানচর নিয়ে বিদেশি গণমাধ্যমে অপপ্রচার চলছে বলেও তিনি জানান।পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পহেলা জানুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল দপ্তরের মন্ত্রী তিন সোয়েকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন বছর ২০২১ সালের মধ্যেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হোক, এটাই চায় বাংলাদেশ। মিয়ানমার অতীতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়েছে। ১৯৭৮ এবং ১৯৯২ সালে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। এবারও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে বেলে আশা করা হচ্ছে এবং এ বছরের মধ্যেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করবে মিয়ানমার।মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারে বড় বিনিয়োগ করা জাপানও সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ভারত এবং চীনও কাজ করছে। সবাই চাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান হোক।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাসানচর নিয়ে বিদেশি গণমাধ্যমে অনেক মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যেমন অনেকে বলছেন, ভাসানচর ভেসে যাবে। অথচ সত্যি হচ্ছে এ দ্বীপ অতীতে কখনই ভেসে যায়নি। আবার কেউ কেউ বলছেন, রোহিঙ্গাদের নাকি টাকা-পয়সা দিয়ে ভাসানচর নেওয়া হয়েছে। এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছে, তাদের পয়সা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি।মন্ত্রী জানান, মিথ্যা প্রচারণা ঠেকাতে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের ভাসানচর পরিদর্শনে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তারা ভাসানচর পরিদর্শন করলেই বুঝতে পারবেন, এ এলাকা কতটা নিরাপদ এবং সেখানে বসবাসের জন্য কতটা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে। এমনকি ভাসানচরে ফোরজি নেটওয়ার্ক সুবিধাও আছে।