পঞ্চগড়ে আবার শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের কারণে সাধারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, শীতের কাপড়ের সংকটে রয়েছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়েছে। এদিকে পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ  শীতের প্রচন্ড ঠাণ্ডা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য গরম কাপড়ের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ক্ষেত মুজুর সমিতি। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনও করেছে তারা। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি মিলনায়তন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় চারশ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। পরে একই দবিতে ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা কমিটির পক্ষে সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পদক রহিদুল ইসলাম মিন্টু জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

স্মারকলিপিতে তালিকাভুক্ত ক্ষেতমজুর পরিবারের সদস্যদের হাতে কম্বল বিতরণের দাবি জানানো হয়। জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বোদা ও দেবীগঞ্জকে প্রেরণ করেন।  এ সময় জেলা সিপিবির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ফিরোজা খন্দকার চামেলী, দেবীগঞ্জ উপজেলা সিবিপির সভাপতি হাসান আলী ও বোদা উপজেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি রাম কিশোর উপস্থিত ছিলেন। 

জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, উপজেলা নির্বহী অফিসার ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেলায় ২১ হাজার ৮০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে বিতরণের জন্য ছয় লাখ টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে শীতবস্ত্রের জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। 

এসব শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেরে উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে ইউএনওদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।