নতুন বই নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে উচ্ছ্বাস তা এবার দেখা গেলো না। এক রকম উচ্ছ্বাসহীনভাবেই বই উৎসব করলো কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা। তবে কিছু এলাকায় শিক্ষকরা ভ্যানে করে শিক্ষার্থীদের বই বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

সন্তানদের সাথে নিয়ে অভিভাবকরা স্কুলে আসছেন। স্কুলের শিক্ষকরা বই বিতরণ করছেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক, হাতে নতুন বই। বই নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। তাদের মাঝে দেখা গেলো না কোনো উচ্ছ্বাস।

চাঁনপুর এলাকায় কুমিল্লা হাইস্কুলের একদল শিক্ষক ভ্যানে করে শিক্ষার্থীদের বই পৌঁছে দেন। যেখানে ভ্যান যেতে পারেননি, সেখানে শিক্ষকরা হতে করেই শিক্ষার্থীদের ঘরে বই পৌঁছে দিয়েছেন।

বাড়ি গিয়ে বই পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে কুমিল্লা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, করোনার কারণে এবার আনন্দ নিয়ে বই বিতরণ করা যায়নি। তাই শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে বই পৌঁছে দিলাম।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার জানান, জিলা স্কুলে কিছুটা উৎসব ছিল। তবে অন্যান্য বছরের মতো নয়।

আদর্শ সদর উপজেলার শিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শোয়েব তার মায়ের সাথে স্কুলে আসে।

নগরীর গুলবাগিচা স্কুলের শিক্ষার্থী ইফফাত আরা স্বর্ণা। বই নিতে একাই এসেছে চতুর্থ শ্রেণির স্বর্ণা। সে জানায় তার বন্ধুদের সাথে দেখা নেই অনেক দিন। তাই আজ বই নিতে এসেও তেমন আনন্দ পাচ্ছে না।

কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মান্নান বলেন, এ বছর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৭ পিস বই এবং প্রাক প্রাথমিকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ পিস বিতরণ কর হবে।