বগুড়ায় ৩৮১ জন ঠিকাদারের কাছ থেকে ভ্যাট, সিকিউরিটি ও কমিশন বাবদ আদায় করা প্রায় ১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখার কারারুদ্ধ ব্যবস্থাপকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সংস্থার বগুড়া শাখার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের দায়ের করা ওই মামলায় ব্যাংকটির ৩ কর্মকর্তাকেও বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- যমুনা ব্যাংকের বগুড়া শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার রেজোয়ানুল হক প্রিন্স, রবিউল ইসলাম রবি ও অফিসার আব্দুর রউফ। 

দুপুর ১টার দিকে শহরের বড়গোলা এলাকায় যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামি ওই ব্যাংকের বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক সওগাত আরমান অন্য একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডারের বিপরীতে ৩৮১জন ঠিকাদার ভ্যাট, মার্জিন, সিকিউরিটি এবং কমিশন বাবদ ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ওই ব্যাংকে জমা করেন। তবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সওগাত আরমান অপর ৩ সহযোগীকে নিয়ে তা আত্মসাত করেন। 

তিনি জানান, আত্মসাত করা ওই টাকার একটি অংশ সরকারের এবং অপর একটি অংশ ব্যাংকের প্রাপ্য ছিল।  

দুদক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, গ্রাহকের ১২ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই গ্রেপ্তার করা ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক সওগাত আরমানের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ঠিকাদারদের জমা করা ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি বেড়িয়ে আসে।